আবহাওয়া

শিরোনাম :

স্ত্রীর প্রতি অবহেলা। পার্টঃ২



পার্টঃ২
কিন্তু দেখেন আমার কি ভাগ্য আজ আমার থেকে সে অনেক দূরে। তবে আপু আমিও অভিমান পারি আর সেই অভিমানে আমিও চলে যাবো তার থেকে অনেক অনেক দূরে বলেই কেমন জানি করা শুরু করলো।
পাসে থাকা মহিলাটি অনেক ভয় পেলো আর ডাক্তারকে বলতে লাগলো ডাক্তার কি হয়েছে সে এমন করছে কেনো সে ঠিক আছেতো।
তখন মহিলাটির মানে হুমাইরা খাতুনের কথা শুনে ডাক্তার কোনো কথা বলছে নাহ শুধু চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। আর করুন দৃষ্টিতে মহিলাটি মানে জরিনা খাতুন এর দিকে তাকিয়ে রইলো।
হঠাৎ জরিনা খাতুনের বড় ছেলে এসে ডাক্তার৷ কে বললো ডাক্তার সাহেব আমার রক্তের সাথে মা এর রক্ত মিলেছে সো আমি রক্ত দিবো তাও আমার মাকে বাচান প্লিজ।
ডাক্তার জরিনা খাতুনের বড় ছেলেকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দিলো। তারপর সেখান থেকে চোখের জল মুছতে মুছতে সেখান থেকে চলে গেলো। এইটা দেখে হসপিটালের সবাই অবাক হলো।
তখন ডাক্তারের পিছন পিছন একটা নার্স গিয়ে বলে আপনি রুগিকে এইভাবে ফেলে রেখে কেনো আসছেন তখন ডাক্তার বললো। সেখানে যদি আমি আর একটি মুহুর্ত থাকতাম তাহলে দম বন্ধ হয়ে মারা জেতাম।
কারন আজ যেই রুগি আসছে তিনি আর কেউ নাহ আমার থেকে হারিয়ে যাওয়া সেই ভালোবাসার মানুষ বলে একটা চিৎকার দিয়ে উঠলো।
তখন নার্সটা বললো তাহলে তাতো খুশির সংবাদ। আপনার খুশি হওয়ার কথা এতো দিন পর আপনার সেই ভালোবাসার মানুষকে খুজে পেলেন।
ডাক্তার বললো তাকে খুজে পেয়েছি সেটার জন্য খুশি হয়েছি তবে আজ আমার হাতে তার মৃত্যু হবে এইটার জন্য আমি এমন করছি বলে নিজের মাথা চেপে ধরলো আর বললো। যাকে এক নজর দেখার জন্য কতো কি যে করেছি তা জানা নাই।
আজ যখন তাকে দেখতে পেলাম তাও মৃত্যু মুখে দাড়ানো অবস্থায়। তখন নার্সটা বললো কি হয়েছে তার আর আপনি কিভাবে জানেন যে আজ তার মৃত্যু হবে তাও আপনার হাতে।
তখন ডাক্তার বললো তুমি রুগির দিকে ভালো ভাবে তাকিয়ে লক্ষ করেছো। নার্স বললো হুমম করেছি। ডাক্তার বললো কিছু দেখতে পেয়েছো তার শরীরে। নার্স বললো নাহ কিছুই দেখতে পাই নাই আমি।
তখন ডাক্তার একটু হাসি দিয়ে বললো কি করে দেখতে পাবে তুমি তো নার্স ডাক্তার হলে অবশ্যই দেখতে পেতে আচ্ছা বেশি কথা না বাড়িয়ে রুগি কে নিয়ে চেকাপ করাও আর অপরেশনের জন্য তৈরি করো আমি আসছি।
বলে ডাক্তার চলে গেলো টয়লেটে সেখানে গিয়ে সে অনেক কান্না করতে লাগলো কারন তার পুরনো স্মৃতি সরন হয়ে গেছে এক সাথে ঘুরতে যাওয়া পার্কে দুইজন বসে বাদাম খাওয়া দুই জনে মিষ্টি ঝগড়া সব কিছু মনে পরতে লাগলো।
এইসব কিছুর চাপ ডাক্তার মাথায় নিতে পারতেছিলো না সে জোরে চিৎকার করতে লাগলো। হঠাৎ শুনতে পেলো বাহিরে কান্নার আওয়াজ। ডাক্তার তারাতারি টয়লেট থেকে বেরিয়ে এসে দেখে তার সেই হারিয়ে যাওয়া ভালোবাসার মানুষটি মৃত লাশ হয়ে কেবিনের উপর পড়ে আছে।


ডাক্তার একটা চিৎকার দিয়ে লাশের মাথার কাছে গিয়ে বললো এই তুই কই গেলি আমাকে একটা বার দেখ আমাকে একটা বার মিষ্টি ভাবে ভাইয়া ডাক আমার কান ধরে টান দে।
আমি এত দিন তোর সাথে দেখা করি নাই তার জন্য আমাকে শাস্তি দে। কিরে কথা বলিস নাহ কেন। কথা বল অভিমান করেছিস। আমার সাথে।
বলে লাশের মাথা ধরে ঝাকুনি দিয়ে বুকের মাঝে নিয়ে চিৎকার করে বললো কিরে তুই কথা বলিস নাহ কেন কথা বল। কিরে কি হইছে তোর বল। বলে চিৎকার করতে লাগলো।
হঠাৎ ডাক্তারের কানে একটা বাচ্চার চিৎকার ভেসে আসে অশ্রু সজল চোখে তাকিয়ে দেখে নার্সের কোলে ফুটফুটে একটা ছেলে বাচ্চা।
নিয়ে দাড়িয়ে আছে। ডাক্তার চোখ মুছতে মুছতে বলে এই বাচ্চাটা কার তখন নার্স বলে জরিনাহ খাতুনের সন্তান একজনি প্রসব হইছে বাকি দুই টি সন্তান পেটে রয়ে গেছে।
ডাক্তার কান্না ছেড়ে বলে কি বলছেন আপনি এই সব। নার্স বলে হুম স্যার আমি ঠিকি বলছি।তখন ডাক্তার চুপ করে দারিয়ে দেখতে পেলো নার্সের কোলের বাচ্চা টা হাসছে খেলছে। আর তার মা এর দিকে মা জরিনা খাতুনের দিকে তাকালো দেখলো জরিনা খাতুন সেই মিষ্টি হাসিতে আছে।
তখন কোথা থেকে একটা লোক পাগলের মতো এসে লাশটাকে জড়িয়ে ধরে
বিঃদ্রঃ ভুল ত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন। আর গল্পটি বাস্তবের সাথে মিল রেখে লেখা হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই